গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী ও দুই সন্তান হাসপাতালে

জোস্না বেগম ও তার স্বামী স্বপন মিয়া
রাজধানীর গোলাপবাগে একটি বাসা থেকে জোস্না বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই বাসা থেকে তার স্বামী স্বপন মিয়াকে (৪০) গলাকাটা এবং ছেলে ইফতি ও মেয়ে জোহাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে যাত্রাবাড়ী থানার গোলাপবাগ এলাকার কাইয়ুমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ইফতি নবম ও জোহা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী জোস্না তার স্বামীর হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করতে চায়। এর জন্য তার দুই সন্তানকে আগেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে নেয়। পরে যখন সে মনে করে তার স্বামী মারা গেছেন ওই সময় নিজেও ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।’

নিহত জোস্না বেগমের পরিবারের সদস্যরা জানায়, জোস্নার স্বামী স্বপন মিয়ার অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। স্ত্রী বিষয়টিতে নিষেধ করলে স্বপন মিয়া তাকে মরধর করতো। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।

যাত্রবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে স্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং নিজে আত্মহত্যা করেছে।

স্বপন মিয়ার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তারা গোলাপবাগে ভাড়া বাসায় থাকতো।