তিনি জানান, আটক জামালের কাছ থেকে পাঁচ ধরনের ৩১ হাজার ২৫০ পিস ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এসব ওষুধ ডায়াবেটিকস, হাঁড়ের ক্ষয়জনিত রোগ, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। জব্দ ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ডুফাস্ট ওন’ ১২ হাজার পিস, ‘ম্যাক্সটর্ড’ ২ হাজার পিস, ২৫ মিলিগ্রামের ‘নিওরাল’ ১৫ হাজার পিস, ৫০ মিলিগ্রামের ‘নিওরাল’ ২ হাজার পিস ও ‘নোভো র্যাপিড’ দুইশ ৫০ পিস।
ডিজি সহিদুল ইসলাম জানান, আটক যাত্রী মিসর থেকে টিকে-০৭১২ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুমানিক ভোর ৫টায় অবতরণ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দারা ব্যাগেজ বেল্টসহ গ্রিন চ্যানেলে বিশেষ নজরদারি বজায় রাখে। ৪ নম্বর বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহ করে স্ক্যানিং ফাঁকি দিয়ে গ্রিন চ্যানেল দ্রুত অতিক্রম করে চলে যাওয়ার সময় ওই যাত্রীর গতিরোধ করা হয় এবং পরবর্তীতে কাস্টমস হলে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তার সঙ্গে থাকা দুটি লাগেজ খুলে ওষুধগুলো জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমতি ব্যতিরেকে বিদেশি ওষুধ আমদানি করা যায় না। জব্দ ওষুধের আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা। সব কার্যক্রম শেষে যাত্রীর পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। শুল্ক আইন অনুযায়ী জব্দ ওষুধ কাস্টমস গোডাউনে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডিজি।