বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিরোধিতার সুযোগ রয়েছে: হাইকোর্ট

হাইকোর্টবিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বিরোধিতার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেশের বিশেষায়িত কোনও হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর শুনানি আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানিকালে খালেদার আইনজীবীদের কাছে আদালত জানতে চান, ‘আপনারা কি রুল চান?’

জবাবে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শুনানি শেষে আমরা আদালতের কাছে একটি অর্ডার চাই।’

তখন আদালত বলেন, ‘এখন তো অবকাশকালীন কোর্ট চলছে, অল্প সময় কোর্ট চলবে। আপনাদের এটা (রিট) বিস্তারিত শুনতে গেলে অন্য আইনজীবীদের মামলাগুলো শোনা হবে না।’

এ পর্যায়ে আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল প্রবেশ করেন। তখন খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালতকে উদ্দেশে বলেন, ‘মাই লর্ড, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বিরোধিতা না করলেই তো এখনই একটা অর্ডার দিতে পারেন।’

তখন আদালত বলেন, ‘আপনারা যে প্রক্রিয়ায় বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুবিধা চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে তো বিরোধিতা করার সুযোগ রয়েছে। এরপর আদালত বলেন, আমার উভয় পক্ষের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনবো। এজন্য ১ অক্টোবর শুনানির জন্য রাখছি।’

এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর রিটটি দায়েরের পর ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘রিটে বিশেষায়িত কোনও হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশ এবং এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর থেকেই তিনি পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।