পুলিশ সূত্র জানায়, র্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই ) হাবিব আদালতে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উপ-পরিদর্শক হাবিব জানান, একটি অস্ত্র ও ৫৩ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে শামীমের স্ত্রী শারমিন রাবেয়া ও ছোট ভাই আমিনুল হক শাহিন জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে র্যাবের পোশাক পরা ১০-১২ জন বাসায় এসে শামীমকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা শামীমের ল্যাপটপ, সিপিইউ, আইপ্যাড ও মোবাইল নিয়ে যায়। কিন্তু এখন মামলায় বলছে মনসুরাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া গেছে। কিন্তু এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
শামীমের কাছে অস্ত্র ও ইয়াবা থাকতে পারে তা তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাদের ধারণা, কোনও একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসিয়েছে। শামীমের স্বজন ও বন্ধুরা জানান, নাসির উদ্দিন শামীম আগে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। এমনকি ‘ডেভস টিম’ নামে নিজেও একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেছিলেন। সেই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অ্যাওয়ার্ড পানও তিনি। ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে তার খ্যাতি আছে। বেসিস ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে শামীম ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ঘরে বসেই আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন।
বন্ধু ও স্বজনরা জানান, শামীম সিগারেট পর্যন্ত খান না। সেই ব্যক্তি ইয়াবার ব্যবসা করবেন বা অস্ত্র নিয়ে ঘুরবেন—এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষ দশ ধনী নিয়ে একটি ‘ফেজবুক পোস্ট’ শেয়ার করায় একটি পক্ষ তাকে ফাঁসিয়েছে বলে মনে করছেন তারা।