ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি ৫ নভেম্বর

রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আগামী ৫ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। বুধবার (১৭ অক্টোরর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জেরা করার পর  ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমামের এ আদেশ দেন। আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ মাকসুদর রহমান এই তথ্য জানান।

এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই (বর্তমানে পরিদর্শক) দীপক কুমার দাসকে মামলার আসামি সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির রনির মোবাইল কললিস্ট, মামলার অভিযোগপত্র ও গাড়ির লাইসেন্স সম্পর্কে জেরা করেন তার আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হিরু।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি কালো রঙের প্রাডো গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম আহত হন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

ওই ঘটনায় ওই বছরের ১৫ এপ্রিল নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাত পরিচয় কয়েক জনকে আসামি করে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এরপর ওই বছরের ৩০ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বখতিয়ার আলম রনিকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন। এরআগে গত ৮ মে মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন বিচারক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রায় ঘোষণার তারিখ বাতিল করে অধিকতর যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। পরে আসামি পক্ষের আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।

আসামি রনির পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। তিনি মামলায়  যুক্তি উপস্থাপন করে আসামির বেকসুর খালাস দাবি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুস সত্তার দুলাল যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।

এ মামলায় গত ২০১৫ সালের ২১ জুলাই ডিবি পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস রনির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর গত ২০১৬ সালের ৬ মার্চ রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামছুন নাহার।