মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান একথা জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার অভিযান চালিয়ে ৫৩১টি মোবাইল চোরাই মোবাইল, দু’টি সিপিইউ ও আইএমইএই নম্বর পরিবর্তনের কাজে ব্যবহৃত ৬টি ডিভাইসসহ আটক করে র্যাব-৩। আটক ১৫ জন ৫-৬ মাস ধরে এ কাজ করছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, এসময় মোতালেব (২৬), রিপন (৩৭), মান্নান (৩৯), রাশেদ খান (২৪) আনিস মোল্লা (২৮) জাহিদুল ইসলাম (২১) পলক (১৯) রাশেদুল ইসলাম (২১) নাঈম সর্দার (১৮) স্বপন (২৬) রানা হামিদ (২২) মাসুদ রানা (২৪) নাজিম (২৬) কামাল হোসেন (১৭)।
গুলিস্তান পাতাল মার্কেট ও ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে সোমবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযান চলিয়ে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ১১টি দোকানে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় কাগজবিহীন পাঁচ শতাধিক মোবাইল।
র্যাব-৩ এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশেকুর রহমান বলেন, ‘আইএমআইএ নম্বর পরিবর্তানের সময় কয়েকজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। মাসুদ লাকুরিয়া এ চক্রে মূল হোতা। প্রায় ৬ মাস ধরে তারা এ কাজ করছে। মোতালেব ও মান্নান নামে দুজন নিজস্ব লোক দিয়ে দোকানে মোবাইল বিক্রি করতো।’
র্যাব-৩ এর সদস্যরা আলী ইলেকট্রনিক্স, সিমলা ইলেকট্রনিক্স, সাকিব ইলেকট্রনিক্স, আজমেরি ইলেকট্রনিক্স, আবির ইলেকট্রনিক্স, সুমাইয়া টেলিকম, ইলেকট্রনিক্স কর্নার, ইলোক কনিক্স কর্নার, আলামিন ইলেকট্রনিক্স, রহমত ইলেকট্রনিক্স এবং সিটি ইলেকট্রনিক্সে অভিযান চালায়।