৫ মিনিটেই পরিবর্তন করা যায় আইএমইআই নম্বর!

উদ্ধার করা মোবাইলবিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে মাত্র ৫-৭ মিনিটেই মোবাইল সেটের আইএমআইএ (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) পরিবর্তন করে ফেলা যায়। চোরাই ও ছিনতাই করা মোবাইল সেটের আইএমআইএ নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় বিক্রি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া  ফ্ল্যাশ ডিভাইস ব্যবহার করে যেকোনও মোবাইল আনলক করে, অপরাধী চক্রের কাছে তুলে দিত।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) কাওরান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজত সংবাদ সম্মেলনে  র‍্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান একথা জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার অভিযান চালিয়ে ৫৩১টি মোবাইল চোরাই মোবাইল, দু’টি সিপিইউ ও আইএমইএই নম্বর পরিবর্তনের কাজে ব্যবহৃত ৬টি ডিভাইসসহ আটক করে র‍্যাব-৩। আটক ১৫ জন ৫-৬ মাস ধরে এ কাজ করছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।  

গ্রেফতারকৃতরা হলো, এসময় মোতালেব (২৬), রিপন (৩৭), মান্নান (৩৯), রাশেদ খান (২৪) আনিস মোল্লা (২৮) জাহিদুল ইসলাম (২১) পলক (১৯) রাশেদুল ইসলাম (২১) নাঈম সর্দার (১৮) স্বপন (২৬) রানা হামিদ (২২) মাসুদ রানা (২৪) নাজিম (২৬) কামাল হোসেন (১৭)।

গুলিস্তান পাতাল মার্কেট ও ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে সোমবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযান চলিয়ে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ১১টি দোকানে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় কাগজবিহীন পাঁচ শতাধিক মোবাইল।

আটকৃকতরাপ্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, ছিনতাই, চোরাই মোবাইল কিনে আইএমইআই পরিবর্তন করে নানান অপরাধে কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করে আসছিল। অভিযানের সময় আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের কাজ করছিল। তারা বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে মাত্র পাঁচ-সাত মিনিটের মধ্যেই আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে ফেলে। এছাড়া যেকোনও আন্ড্রয়েড মোবাইলের লক খুলে আবার বিক্রি করতো।

র‍্যাব-৩ এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশেকুর রহমান বলেন, ‘আইএমআইএ নম্বর পরিবর্তানের সময় কয়েকজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।  মাসুদ লাকুরিয়া এ চক্রে মূল হোতা। প্রায় ৬ মাস ধরে তারা এ কাজ করছে। মোতালেব ও মান্নান নামে দুজন নিজস্ব লোক দিয়ে দোকানে মোবাইল বিক্রি করতো।’

র‍্যাব-৩ এর সদস্যরা আলী ইলেকট্রনিক্স, সিমলা ইলেকট্রনিক্স, সাকিব ইলেকট্রনিক্স, আজমেরি ইলেকট্রনিক্স, আবির ইলেকট্রনিক্স, সুমাইয়া টেলিকম, ইলেকট্রনিক্স কর্নার, ইলোক কনিক্স কর্নার, আলামিন ইলেকট্রনিক্স, রহমত ইলেকট্রনিক্স এবং সিটি ইলেকট্রনিক্সে অভিযান চালায়।