এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ধারা অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে। আর সর্বনিম্ন সাজা হতে পারে তিন বছর। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ারে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলামও একই কথা বলেন। আদালত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করলে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর আর সর্বনিম্ন শাস্তি তিন বছর হতে পারে। বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারে। এই আইনজীবী আরও বলেন, তারা আশা করছেন আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় সোমবার (২৯ অক্টোবর)। রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড.আখতারুজ্জামান এ রায় দেবেন। তবে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলবে কিনা সেই বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন তার আইনজীবীরা। সোমবার (২৯ অক্টোবর) তাদের আপিল আবেদন খারিজ হয়ে গেলে বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করবেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে আসামিদের বিচার কাজ শুরু হয়। ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতকে বলেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। এরপর ২১ ডিসেম্বর থেকে এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তখনকার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলাটি দায়েরের আগে থেকেই হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন।
এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাভোগ করছেন।
আরও পড়ুন: