মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার শারমীন জাহান এক খুদে বার্তায় এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড একটি ভুয়া নিয়োগ প্রতিষ্ঠান। বেকারদের নিয়োগের কথা বলে তারা জামানত হিসেবে টাকা জমা রেখে তা আত্মসাৎ করে। এই গ্রুপের সাতজনকে সোম ও মঙ্গলবার রাজধানীরর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’
বেকার যুবক ও তরুণকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি ও পণ্য বিক্রির মাধ্যমে টাকা উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। এর আগেও সাভারের আশুলিয়া, গাজীপুর থেকে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতারক লোকজন ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।
এরা পত্রিকা ও পরিবহনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। সিআইডি জানিয়েছে, প্রথমে খাওয়া ও বাসস্থানের সুবিধাসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে মাসে ৮-১০ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সঙ্গে পণ্য বিক্রির ওপর কমিশনের প্রলোভনে দেখিয়ে তরুণ ও বেকার যুবকদের আকৃষ্ট করা হয়। এরপর প্রশিক্ষণের কথা বলে তাদের কাছ থেকে ৩৫-৪০ হাজার টাকা জামানত নেওয়া হয়। যোগদানের পরপরই প্রশিক্ষণের নামে তাদের চাকরিপ্রার্থী সংগ্রহের কৌশল শেখানো হয়।
মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা কৌশল শিখিয়ে থাকে তারা। যত লোক জোগাড় করা যাবে, বেতন ও কমিশন তত বাড়তে থাকবে বলে প্রলুব্ধ করা হয়। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চাকরি প্রত্যাশীরা আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুসহ পরিচিতদের ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে উৎসাহিত করেন। তাদের কথায় অনেকেই জামানত দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন।
এর আগেও সিআইডি এমন অপরাধ গোষ্ঠীকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে বেলা দেড়টায় প্রেসব্রফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান শারমীন জাহান।