মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

ব্যরিস্টার মইনুল হোসেনটেলিভিশন টক শোতে নারী সাংবাদিককে কটূক্তি করা নিয়ে মানহানির মামলায় গ্রেফতার হওয়া সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আগামী রবিবারের (১১ নভেম্বর) মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রংপুর কারা কর্তৃপক্ষ ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এই সময়ে রংপুর থেকে অন্য কোনও জেলায় স্থানান্তরের সময় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী রবিবার আবেদন দুটির পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর বিশেষায়িত হাসপাতালে ব্যারিস্টার মইনুলের চিকিৎসা ও রংপুর আদালতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। মইনুলের স্ত্রী সাজু হোসেন এ রিট দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ্য করে ‘চরিত্রহীন’ মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মাসুদা ভাট্টিসহ নারী সাংবাদিকরা মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। ঘটনার চার দিনেও ব্যারিস্টার মইনুল প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি।

মইনুলের মন্তব্যকে নারী সমাজের জন্য অবমাননাকর দাবি করে একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জামালপুরের আদালতেও মামলা করেন একজন নারী। যদিও ওই দুটি মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। তবে এছাড়াও একই ঘটনায় কুড়িগ্রাম ও রংপুরের আদালতেও পৃথক মামলা হয়। এর মধ্যে রংপুরের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

পরে গত ২৩ অক্টোবর মইনুলকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম। এরপর সেদিন বিকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যারিস্টার মইনুলকে। এরপর গত ৩ নভেম্বর ব্যারিস্টার মইনুল রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়।