একইসঙ্গে হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে লিভ টু আপিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল মতিন খসরু, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ফখরুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামি মিরুর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও এ এম আমিন উদ্দিন।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মেয়র মিরুর দুই ভাই মিন্টু ও পিন্টু অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মেয়র মিরুর বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় মেয়রের পক্ষে দুটি শটগান থেকে গুলি ছোড়া হয়। সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল।
পরে শিমুল হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে মেয়র মিরুসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলায় মেয়র মিরু বর্তমানে কারাগারে আছেন।
দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় মেয়র মিরু জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে মিরুকে জামিন দেওয়া কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের শুনানি শেষে গত ৪ নভেম্বর মিরুকে জামিন দেন আদালত। মিরুর জামিন বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মিরুর জামিন মঞ্জুর করেন। পরে সেই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানানো হয়।