সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের টিন আত্মসাতের মামলা স্থগিত

সুপ্রিম কোর্টব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ত্রাণের ঢেউ টিন আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনে খারিজ করা হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ত্রাণের ঢেউ টিন আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলার ওপর থেকে হাইকোর্টের জারি করা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন আদালত। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। পরে সে রায় স্থগিত চেয়ে আপিলে আবেদন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৩ জুন ভোলার নৌ-কন্টিনজেন্ট এবং বোরহান থানা পুলিশ যৌথভাবে বোরহান উদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মনিরাম বাজার সংলগ্ন হাফিজ ইব্রাহিম মহাবিদ্যালয়ের তিনটি ঘর থেকে ১০০ বান্ডিল ত্রাণের ঢেউটিন  উদ্ধার করে। উদ্ধার করা ঢেউটিনের বিষয়ে ওই মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাফিজ ইব্রাহিম এবং কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গজনবী জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। পরে এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ২০০৭ সালের ১৩ জুন অভিযুক্ত দুইজনকে আসামি করে বোরহান উদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দুদকের সহকারী পরিচালক রামমোহন নাথের তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

অভিযোগপত্রে অধ্যক্ষ এস এম গজনবী, কলেজটির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সাংসদ মো. হাফিজ ইব্রাহিম ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহানকে নিয়ে চার জনের নাম উঠে আসে। মামলাটিতে এ পর্যন্ত মোট আসামিদের সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এরই মধ্যে বিচারিক আদালতে চলমান মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলাটি থেকে হাফিজ ইব্রাহিমের অংশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এরপর গত ১১ নভেম্বর এ মামলায় জারি করা রুলের শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।