আহসান হাবিব কামালসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে

আহসান হাবিব কামালবরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক পৌর মেয়র মো. আহসান হাবিব কামালের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলা বাতিলের আবেদন (রিভিশন) খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই মামলা বাতিল চেয়ে অন্য চার আসামির করা আবেদনও খারিজ করেছেন আদালত। এ আদেশের ফলে মামলা বাতিল চাওয়া ৫ আসামির বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলাটির কার্যক্রম চলতে আর কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আহসান হাবিব কামাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক। অন্য চার আসামি হলেন- মোহাম্মদ ইসহাক, খান মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম,  মো. আবদুস সাত্তার ও মো. জাকির হোসেন।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি মামলাটির বিচারিক কার্যক্রমের ওপর পূর্বে জারি করা স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করেছেন আদালত।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এসএম মাহবুবুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। 

এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৯৯৬ সালের ৩ জুনের মধ্যে আহসান হাবিব কামাল বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে জালিয়াতি ও প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগে বলা হয়, আহসান হাবিব অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে বরিশাল পৌরসভার অধীন টেলিফোন ক্যাবল স্থাপন করার কাজে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতেরর নামে দরপত্র আহ্বান না করে কিংবা কোনও ঠিকাদার নিয়োগ না করে,  কোনও ব্যক্তি বা ফার্মকে কার্যাদেশ না দিয়ে সরকারের ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬২৯ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে এ অভিযোগে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন আহসাব হাবিবসহ ৭ জনকে আসামি করে বরিশাল কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

আসামিরা হলেন- তৎকালীন বরিশাল পৌরসভার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইসহাক, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান, বরিশাল পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মুহম্মদ নুরুল ইসলাম, পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুস সাত্তার ও  মো. লুৎফর রহমান ও মো. জাকির হোসেন।

পরে দুদকের ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত। কিন্তু, সে অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানায় মামলার ৫ আসামি। ২০১২ সালের ২০ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বৈধতার বিষয় হাইকোর্ট রুল জারি করেন ও মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। এর দীর্ঘদিন পর মামলাটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এলে রুলের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) আদেশ দেন হাইকোর্ট।