এদিন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে কিনা— এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় বাদীর আইনজীবী আবুল কালাম বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে সাতটি ধার্য তারিখ পার হওয়ার পরেও বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেননি। আজও (বৃহস্পতিবার) আমরা শুনানি করেছি। কিন্ত বিচারক আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ২৪ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন।’
এর আগে গত ৩০ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক মানহানির অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন। ওই দিন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা না চেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব চেয়েছিলেন। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’
এজাহারে আরও বলেন,‘আওয়ামী লীগ দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।’
খালেদা জিয়ার এ বক্তব্য জাতির পিতার ইতিহাসকে বিকৃত করে যুবসমাজের কাছে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করে মানহানিকর অপরাধ করেছেন বলে মামলা দায়ের করেন বাদী।
প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও জিয়া অরফানেস ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইতোমধ্যে খালেদা জিয়াকে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। বর্তমানে তিনি পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজা ভোগ করছেন।