মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর তেজকুনিপাড়ার রুপালী বিল্ডার্স ২১৯ সি এর ১২/৪ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে কুরবান আলীকে আটক করা হয়। এসময় ওই বাসার একটি কক্ষ থেকে জুয়েল আহম্মেদকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ষ্টান্ডার্ড গ্রুপে চাকরি করতেন নাটোরের জুয়েল আহম্মেদ। চাকরির সুবাদে আবু মুসা ওরফে প্রিন্স আল মুসা এবং কুরবান আলীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। পরে জুয়েল চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে যায়। কিছুদিন পর জুয়েলকে ঢাকায় কাস্টমসে চাকরির দেওয়ার কথা বলে বন্ধু মুসা। প্রতারণার ফাঁদ হিসেবে জুয়েলকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র পাঠায়। চাকরিতে যোগদানের জন্য ঢাকায় এলে জুয়েলকে ফার্মগেটের হলিক্রস স্কুলের সামনে থেকে মুসা ও কুরবান মিলে তুলে নিয়ে যায়। তেজকুনি পাড়ার একটি বাসায় আটকে রেখে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার আশ্বাসে সেদিন রাতেই তেজকুনি পাড়া থেকে কুরবান আলীকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিম জুয়েলকে উদ্ধার করা হয়।
আটক কুরবানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর এই কর্মকর্তা জানান, চাকরির কথা বলে জুয়েলকে কুরবান আলীর নিজের বাসায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। হাতুড়ি ও ইলেকট্রিক তার দিয়ে টর্চারিং করা হয়। পরে পরিবারের কাছে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় জুয়েলকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর পরিবার র্যাব-২ এর কাছে অভিযোগ করেন। সে অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বিকাশে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
এএসপি মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, আটক কুরবান আলী তার বন্ধু মুসার যোগসাজসে এই অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। পলাতক মুসাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আটক কুরবানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।