চালানোর বাহানায় বাইকার শাহনাজের স্কুটি ছিনতাই

শাহনাজ আক্তার পুতুল, ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীতচালানোর বাহানা করে উবারের বাইকার শাহানাজ আক্তার পুতুলের স্কুটি ছিনতাই করেছেন জনি নামের এক দুর্বৃত্ত। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ার) বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন মানিক মিয়া এভিনিউতে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এদিন রাতেই শাহানাজ বাদী হয়ে স্কুটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জনিকে আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেছেন।  

মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে,  ১০ জানুয়ারি মিরপুরের শ্যামলী এলাকায় জনির সঙ্গে শাহনাজের পরিচয় হয়। এসময় তিনি নিজেকে পাঠাও চালক বলে পরিচয় দেন। সে আমাকে (শাহনাজ) একটি স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবে বলে জানান। আমি তার কথায় কিছুটা আশ্বস্ত হয়ে চাকরি পাওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করি। এর জন্য ১৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টার সময় জনি আমাকে খামার বাড়িতে আসতে বলেন। তার কথামতো স্কুটি নিয়ে যথাসময় সময় সেখানে এসে তার সঙ্গে দেখা করি। এরপর হঠাৎ সে আমার স্কুটিতে উঠে বসেন এবং আমাকে নিয়ে বিমানবন্দর এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর পুনরায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ের রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসে একটি টং দোকানে জনিকে নিয়ে চা খাচ্ছিলাম। এমন সময় তিনি কৌশল করে আমার স্কুটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

এতে আরও বলা হয়, রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি টং দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন শাহনাজ। তার সঙ্গে ছিলেন জনি (২৭) নামের এক যুবক। চা খেতে খেতে জনি প্রশ্ন করেন, স্কুটি চালানোর নিয়ম কী? কোনও ক্লাস আছে? জবাবে শাহনাজ বলেন, ‘না নেই।’

ওই সময় হুট কর জনি বলেন,  ‘দেন তো! কীভাবে চালায় দেখি।’ স্বল্প সময়ের পরিচিত ওই যুবককে সরল বিশ্বাসে স্কুটির চাবি দিলে জনি তা নিয়ে চম্পট দেয়। পিছু ধাওয়া করেও তাকে ধরতে পারেননি শাহনাজ।   

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শেরেবাংলা নগর থানার উপ পরিদর্শক ( এসআই) গৌতম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এই ঘটনায় শাহানাজ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার ও তার ছিনতাই করা স্কুটিটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।