মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) ‘ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ’ শুরু হয়। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পক্ষ উপলক্ষে ১২টি কার্যক্রম হাতে নেয় ট্রাফিক পুলিশ। কার্যক্রমের প্রথম পাঁচটি প্রচারণা ও অনুষ্ঠান। বাকি সাতটি আইনমানা, মামলা দেওয়া ও নিয়ম মেনে সড়কে হাঁটার বাধ্যবাধকতা।
তবে মঙ্গলবার ও বুধবার সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যত্রতত্র বাসের যাত্রী ওঠানামা করতে দেখা গেছে। গাড়ির দরজা বন্ধ রাখার কথা থাকলেও মিরপুর সড়কে চলাচলকারী গাড়ির দরজা খোলা দেখা গেছে। চালক ও তার সহকারীরা গাড়ির দরজা খোলা রেখেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী পরিবহন করছেন। পাশাপাশি পথচারীরাও নিয়ম মানছেন না। ফুটওভার ব্রিজ ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারেও বেশিরভাগ পথচারী আগ্রহী নন। তবে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে মামলা দেওয়ার কারণে বাস চালকদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব অনেকটা কমেছে।
বাংলামোটরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী সজীব ব্যাপারী রেড ক্রিসেন্টের সদস্য হিসেবে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষ ফুটপাত, ফুটওভারব্রিজ ও জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করে। তবে মানুষের আইন না মানা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাই অভ্যাস পরিবর্তনে একটু সময় লাগবে।’ সজীব বলেন, ‘চালক ও পথচারীদের সচেতনতার অভাবই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
শুধু তিনিই নন, পুলিশের এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়া অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরাও মনে করেন, সবার আগে প্রয়োজন সবার সদিচ্ছা। তারপরও আশা ছাড়তে নারাজ তারা। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তানে ‘ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ-২০১৯’-এর উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
কাওরান বাজারে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. মুসাব্বির হোসেন জানান, ট্রাফিক আইন মানার পাশাপাশি সচেতনতা একটু বাড়লেই স্বস্তি ফিরবে সড়কে।
প্রথমদিন ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৬,৯০৯টি মামলা ও ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযানকালে ৩৮টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৮৯টি গাড়ি রেকার করা হয়। ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে ২৭৬৮টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা ও ১৩৯টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়। সেইসঙ্গে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলফোন ব্যবহার করার অপরাধে চালকের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা দেওয়া হয়।