মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ২৮ মার্চ

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুরমেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ( ১৭ জানুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।কিন্তু এ দিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আকন্দ সময়ের আবেদন করায় ঢাকার ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম প্রদীপ কুমার রায় নতুন এ দিন ধার্য করেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) ঢাকার ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম প্রদীপ কুমার রায়ের আদালতে মামলাটির বিচারকাজ চলছে।

গত ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিআইডিকে অধিকতর তদন্ত করে ২২ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালতটির তৎকালীন বিচারক খন্দকার হাসান মো. ফিরোজ।

এ ঘটনায় জড়িত থাকা আসামিরা হলেন- সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

১৯৯৫ সালের ১৫ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। এর আগে ১ মার্চ আসামি এমদাদুল হক, ১২ মার্চ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ১১ জুন কারাগারে থাকা এরশাদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলা দায়েরের ১৯ বছর পর মামলাটি শেষপর্যায়ে পৌঁছালেও বিচারক বদলি হওয়ায় তা আবার পিছিয়ে যায়।

২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক হোসনে আরা আকতার ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু রায়ের মাত্র ১৩ দিন আগে ২৯ জানুয়ারি তিনি পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটির বিচারের দায়িত্ব পান দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ। এর আগে গত ১৯ বছরে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন বিচারক এ মামলাটিতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মঞ্জুর হত্যা মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দেন তিনি। ওই ঘটনায় জড়িত থাকা আসামিরা বর্তমানে সবাই জামিনে রয়েছেন।