অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড: ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

01ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অনুমোদনের জন্য চার্জশিট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোজিম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি )। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতার চারজন হলো- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব (সাংগঠনিক নাম সাকিব, সাজিদ, শাহাব), মো. আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম- সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ) (২৪) ও হত্যাকাণ্ডে উসকানি বা প্ররোচনাদানকারী শাফিউর রহমান ফারাবী (২৯)।
মামলার পলাতক আসামি দু’জন যথাক্রমে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকুরিচ্যুত মেজর) তার সাংগঠনিক নাম- সাগর, বড় ভাই (৪২) ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ (৩০)।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোমবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘মামলাটি তদন্তকালে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ১১ জনের সম্পৃক্ততা পায় সিটিটিসি। ঘটনায় সম্পৃক্ত অপর পাঁচজন আসামির শুধুমাত্র সাংগঠনিক নাম জানা যায়। পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের অদূর ভবিষ্যতে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।’
অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সম্পর্কে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ তিন বছর মামলাটির তদন্ত করে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরবর্তী সময়ে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে সিটিটিসি। ’
মো. মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুইজনের নাম ঠিকানা যাচাই করে তাদের পলাতক হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্ররোচনাদানকারী হিসেবে শাফিউর রহমান ফারাবীকে গ্রেফতারপূর্বক অভিযুক্ত করা হয়েছে। সম্পৃক্তদের মধ্যে মো. মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আসামি সায়মন, সোহেল ও আরাফাত ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’
এদিকে অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের মামলাটি প্রথমে পেনাল কোডে রুজু হলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিরা সকলেই আনসারুল্লাহ বাংলাটিম (আনসার আল ইসলাম) এর সদস্য হওয়ায় মামলাটির অভিযোগপত্র সন্ত্রাসবিরোধী আইনে প্রস্তুত করা হয়েছে।