প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধলেশ্বরীর প্রায় সাড়ে ১১ একর জমির ওপর ‘মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশনস লিমিটেড’ নামে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এর মালিক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী। এছাড়া পেন্টা প্রপার্টিজ লিমিটেড ও জাগরণী চক্র নামে আরও দুইটি প্রতিষ্ঠানসহ ৪৬ ব্যক্তি রয়েছে দখলের তালিকায়।
ধলেশ্বরীর প্রায় চার একর (৩.৬৯) জমি রয়েছে ১৯ ব্যক্তির দখলে। তারা হলেন, সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়নের কলম মিয়া, আবেদ আলী, সামছুল হক, বছিরন, ইব্রাহীম মিয়া, নোমাজ আলী, ইদ্রিস আলী, আছিয়া খতুন, আনোয়ারা বেগম, আলী আকবর, সাহেদ আলী, সামছুদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল আলী, জিন্নত আলী, আব্দুল জলিল, সুন্দর আলী, দেলোয়ার হোসেন ও ঢাকার মোহাম্মদপুরের জিয়াউদ্দিন আহাম্মেদ।
‘মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর জায়গা দখল করে ডরিন পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্র’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মনজিল মোরসেদ। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সচিব, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয় সচিব, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ১৩ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
একইসঙ্গে ধলেশ্বরীর সীমানা নিরূপণ ও অবৈধ দখল চিহ্নিত করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত। যার ধারাবাহিকতায় সোমবার হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।