উপমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে ছাত্রলীগ নেত্রীকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ


সংবাদ সম্মেলনে দিসা

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নাম ব্যবহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী ইসলাম দিসাকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৯ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দিসা।

তিনি জানান, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। মোতালেব প্লাজার একটি বাসা থেকে তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়।

দিসা বলেন, “শনিবার (১৮ মে) দুপুরে রিমা নামে একজন ফোন করে বলেন, উপমন্ত্রী নওফেল আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। এরপর উপমন্ত্রীর পরিচয় দিয়ে একজন ফোনে বলেন, ‘তোমার ওপর হামলার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তুমি সন্ধ্যায় রিমার সঙ্গে চলে এসো। আমি তোমাকে আপার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে নিয়ে যাবো’।”

তিনি বলেন, সন্ধ্যায় রিমা মোতালেব প্লাজার বাসায় আসে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরমধ্যে উপমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দিসা ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের জানান, তিনি রিমা নামে কাউকে পাঠাননি এবং ঘটনার কিছুই জানেন না। নওফেল পরিচয়ে যিনি ফোন করেছিলেন তিনি ভুয়া। এটা জানার পর তিনি বুঝতে পারেন তাকে কৌশলে বাসা থেকে অপহরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। দিসা ও তার সঙ্গে থাকা অন্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরেছে এটি বোঝার পর রিমা বাসা থেকে পালিয়ে যায়।

দিসা বলেন, ‘আমাকে কৌশলে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি এখন নিরাপদ বোধ করছি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা চাইছি। কালকের ঘটনার পর থেকে আমি আতঙ্কিত।’

ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিতরা মধুতে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে হামলার শিকার হন শ্রাবণী ইসলাম দিসাসহ অন্যরা। এ সময় তিনি চোখে আঘাত পান।

এই হামলা ও অপহরণের চেষ্টা দুটো একই ঘটনার ধারাবাহিকতা কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে দিসা বলেন, ‘এটার বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে একটি চক্র আমাকে অপহরণের চেষ্টা করেছে। আমি বিচার চাই। রিমা নামে যে মেয়ে এসেছিল, সে বদরুন্নেছা কলেজ ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাকে আমি চিনি। তাকে গ্রেফতার করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’