ওয়াসার ৩৪ পয়েন্টের পানি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ


সুপ্রিম কোর্টঢাকা ওয়াসার চারটি প্রধান উৎস, ১০টি জোন, ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১০টি ইচ্ছামাফিক এলাকার পানি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের আগের নির্দেশ অনুসারে এ সংক্রান্ত কমিটিকে ওয়াসার নিজ খরচে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসিডিডিআরবি’র ল্যাবে পানি পরীক্ষা করে আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে ওই প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
ওয়াসার পানি পরীক্ষায় খরচের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান তার মতামত দেন। এরপর মঙ্গলবার (২১ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
এর আগে ১৬ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার লিংকে গত তিন মাসে ময়লা পানির অভিযোগের তালিকা বিশ্লেষণ করে ১০টি জোনের ৫৯ এলাকায় ময়লা পানির প্রবণতা বেশি বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে মতামত শুনতে ওই কমিটির সদস্য ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমানকে আদালতে আসতে বলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে সে প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।