সরকারি সেবায় দুর্নীতি-হয়রানি সহ্য করা হবে না: দুদক কমিশনার

ড. মো. মোজাম্মেল হক খানদুর্নীতি প্রতিরোধে  জিরো টলারেন্স-নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। তিনি বলেন, ‘সরকারি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি-হয়রানি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।’ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুদকের ১১২তম গণশুনানি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন ও জাতীয় প্রবৃদ্ধির বিকাশমান ধারা অব্যাহত রাখতে হলে দুর্নীতি দমন করতে হবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতেই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হচ্ছে। দুদকের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর কার্যক্রম সব স্তরে বিকশিত হচ্ছে।’

দুদক কমিশনার বলেন, ‘গণশুনারি মূল উদ্দেশ্য জনগণের সরকারি সেবাপ্রাপ্তির সব প্রতিবন্ধকতা দূর করা। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের কল্যাণমূলক কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অন্যতম কৌশল হচ্ছে গণশুনানি।’ তিনি আরও বলেন, ‘জনগণকে হয়রানি করার অধিকার কারও নেই। দুর্নীতি ও দীর্ঘসূত্রিতা মুক্ত থেকে সরকারি পরিষেবা দেওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের আইনি দায়িত্ব।’

কেউ সেবা দিতে ঘুষ দাবি করলে, দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের ‘হটলাইন–১০৬’-এ অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়ে দুদক কমিশনার বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবেন না।’

গণশুনানিতে অংশ নিয়ে সেবাপ্রত্যাশী স্থানীয় নাগরিকরা ভূমি, পল্লীবিদ্যুৎ, বিআরটিএসহ অন্যান্য দফতর সংশ্লিষ্ট মোট ২৭টি অভিযোগ উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে ১০ টি অভিযোগ দুদক কমিশনারের  নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করা হয়।

ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান ও দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন।