মাদারীপুরে কলেজছাত্র অহিদুজ্জামান হত্যা মামলার রায় পেছালো

আদালতমাদারীপুরের নাজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র অহিদুজ্জামান হত্যা মামলার রায় পেছালো। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক আগামী ১৯ জুন রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। রবিবার (১৬ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাছান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলো, লেনিন বেপারী, শাহাবুদ্দিন দর্জি, রেজাউল বেপারী (পলাতক), মহিউদ্দিন দর্জি  (পলাতক), এমএম ফয়সাল আহমেদ, সেলিম (মৃত)।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অহিদুজ্জামানের বন্ধু আসামি মহিউদ্দিন,  লেনিন, শাহাবুদ্দিন ও ফয়সাল। লেনিনের চাচা রেজাউল মহিউদ্দিনকে ইতালি নিয়ে চাকরি দেয়। পরে অহিদুজ্জামান ইতালি যাওয়া জন্য রেজাউলকে ১০ টাকা লাখ দেয়। কিন্তু অহিদুজ্জামানকে বিদেশে না নিতে পারায় রেজাউল তাকে টাকা ফিরিয়া দেবে বলে জানায়। এরেই মধ্যে অহিদুজ্জামানের  পারিবারিকভাবে তিথি নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। তিথির সঙ্গে রেজাউলের প্রেম ছিল। ফলে রেজাউল অহিদুজ্জামানকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। রেজাউল ইতালি থেকে ফোনে তার ভাতিজা লেনিনকে, মহিউদ্দিনের ভাই শাহাবুদ্দিনকে, সেলিম ও ফয়সালকে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ মহিউদ্দিনকে সাভারে এক লোকের কাছে টাকা আনতে যেতে  বলে। তিনি শাহাবুদ্দিন, সেলিম, লেনিনকে নিয়ে সাভার না গিয়ে মানিকগঞ্জের সিংগাইর  থানার কাশিমপুর চর দিঘালিয়া শাহ বেপারির ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে  অহিদুজ্জামানকে  শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।

২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মদন মোহন বনিক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

পরে দায় স্বীকার করে আসামি লেনিন বেপারী, শাহাবুদ্দিন দর্জি ও সেলিম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।