মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিয়েছেন সাহেদ মিয়া (এডিসি), আবু তাহের আব্দুল্লাহ (এডিসি), অঞ্জন সরকার (কনস্টেবল), বাদশা (কনস্টেবল)। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার রুহুল আহমেদ এ তথ্য জানান।
এদিন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ফারুক আহমেদ সাক্ষীদের জেরা করেন। মামলাটিতে এ পর্যন্ত ৫৪ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলো−আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। এদের মধ্যে পলাতক আসামি মামুনুর রশিদ। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বাকি সাত আসামি কারাগারে আছে।
ঘটনাস্থলে মামলার ৫ আসামি নিহত হয়। এছাড়া বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে ৮ আসামি নিহত হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।