নাজমুল হুদার ঘুষ গ্রহণের মামলার তদন্ত চার মাসে শেষ করার নির্দেশ




ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা (ফইল ছবি)ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চার মাসের মধ্যে শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলাটি বাতিল চেয়ে নাজমুল হুদার করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে সোমবার (৮ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তার আবেদনের পক্ষে নিজেই শুনানি করেন। এ সময় দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

যমুনা বহুমুখী সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্গারেট ওয়ান লিমিটেড নিয়োগ পায়। যোগাযোগমন্ত্রীর থাকাকালে নাজমুল হুদা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে তার স্ত্রী সিগমা হুদার মালিকানাধীন খবরের অন্তরালে পত্রিকার ব্যাংক হিসেবে জমা দিতে বলেন। ঘুষের টাকা না দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাতিল এবং কালও তালিকাভুক্ত করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি।

এরপর প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকায় রাজি নাজমুল গুদা ও সিগমা হুদা। পরে ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সিগমা হুদার ব্যাংক হিসেবে মার্গারেট ওয়ান লিমিটেড কর্তৃক প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার চেকে ৬ লাখ টাকা জমা করা হয়।

তবে, ওই ঘটনায় ২০০৮ সালের ১৮ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় হয়ে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যে লাভবান হওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

পরে স্থগিত ও বাতিলের পাশাপাশি মামলার তদন্ত বন্ধ রাখার আবেদন করেন নাজমুল হুদা। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন।