শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
আটকরা হলো- শাহ জালাল (৩২), ফয়সাল (২২), জয়নাল হাজারী (৩০) ও রাকিব (২২)।
র্যাব জানায়, এনায়েত উল্লাহ সম্প্রতি নতুন একটি প্রাইভেটকার কিনেছেন। চক্রটি সবসময় রেন্টে কারের নতুন গাড়ি ও চালকের আর্থিক অবস্থা দেখে টার্গেট করতো। ঘটনার দিন মাদারীপুরে যাওয়ার জন্য এনায়েতের গাড়িতে যাত্রীবেশে দু’জন চড়ে বসেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গাড়িটি কাঁঠালবাড়ি এলাকায় গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তিন জন গাড়িটিকে থামার সিগনাল দেয়। তল্লাশির নামে গাড়ির নিয়য়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তারা।
মোজাম্মেল হক বলেন, চক্রের সদস্যরা এনায়েতকে মাদারীপুরের দত্তপাড়া চর এলাকায় কাশবনে ছোট একটি ঘরে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালাতে থাকে। গাড়িটি ফরিদপুরের সদরপুরে নিয়ে যায়। পরে তার মোবাইল থেকে পরিবারের কাছে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তার পরিবার র্যাবের কাছে অভিযোগ করে। প্রায় তিন দিন অভিযানের পর দুর্গম চর থেকে এনায়েতকে উদ্ধারসহ চার জনকে আটক করা হয়।
চক্রের সমস্যরা যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠে বিভিন্ন পন্থায় অপহরণ ও ছিনতাই করে আসছিলো। কখনও গাড়িতে উঠেই চালকের হাত-পা বেঁধে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যায়, কখনও তারা অস্ত্রের মুখে চালককে নির্ধারিত স্থানে যেতে বাধ্য করে। কখনও মাঝপথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তল্লাশির নামে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় তারা।
তিনি বলেন,এনায়েতকে অপহরণের সঙ্গে ১০ জনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছেন। চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের নাম-ঠিকানা পাওয়া গেছে। আশা করছি শিগগিরই তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
এনায়েত বলেন, ‘চক্রের কেউ আমার পূর্ব পরিচিত না। তারা আমাকে ফোন করে গাড়ি ভাড়ার জন্য ঠিক করে। কাঁঠালবাড়ি এলাকায় গেলে টর্চ লাইট দিয়ে আমাকে থামার নির্দেশ দেয়। এরপর গাড়িসহ আমাকে নিয়ে বেঁধে নির্যাতন করতে থাকে।’