ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানে নামছে দুদক

ফাইল ছবি
অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ও টেন্ডারবাজি নিয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে। তদারকি করবেন সংস্থাটির মহা-পরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খান। সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে (৩০ সেপ্টেম্বর) সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।

এর আগে সকালে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ও টেন্ডারবাজি নিয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দুদক সচিব জানান, ‘ক্যাসিনো ব্যবসা করে যারা বিপুল বিত্ত-ভৈবনের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাদের সম্পদের অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে, কতজনের সম্পদের অনুসন্ধান করা হবে, সে বিষয়টি পরিষ্কার করেননি দুদক সচিব।

দুদকের একটি সূত্র জানায়, অন্তত ১৫ জনের সম্পদ অনুসন্ধান করবে দুদক। তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদেরও সম্পদের খোঁজন নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ও টেন্ডারবাজি নিয়ে দুর্নীতির ঘটনায় এরই মধ্যে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ, কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, ঠিকাদার জি কে শামীমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।  ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের অভিযান শুরু হওয়ার পর আত্মগোপনে গেছেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান বকুল ও মতিঝিলের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদ, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়া আত্মগোপনে গেছেন। তাদের খোঁজে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে।