কোনও বিচারপতির নাম উল্লেখ না করেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক বিচারক থাকার পরও এই দু’জনকে কেন নিয়োগ দেওয়া হলো? খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়াই কি তাদের নিয়োগের মাপকাঠি? তারা দুই জনই অবসর-পরবর্তী ছুটিতে চলে গেছেন। এরপরও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
পরে সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন বলেন, কারও বিরুদ্ধে রায় দিলে একজন বিচারক খারাপ হয়ে গেলেন, এ ধরনের মনোভাব ঠিক নয়। একজন বিচারক অনেক রায় দেন, দুই-একটি রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। কোনও রায়ে ক্ষুব্ধ হলে উচ্চতর আদালত আছে। কিন্তু রায় বিরুদ্ধে গেলে আইনজীবী হিসেবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা কাম্য নয়। আমি জানি না তিনি (মাহবুব উদ্দিন খোকন) বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কিছু বলেছেন কিনা, যদি বলে থাকেন তাহলে আমি নিশ্চিত রাজনীতিবিদ হিসেবে এ কথা বলেছেন।’
আমিন উদ্দিন আরও বলেন, ‘তিনি (মাহবুব উদ্দিন খোকন) নবনিযুক্ত বিচাপতিদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। যে দুই জনকে সংবর্ধনা দেননি, তারা যেহেতু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন, সেহেতু তারা সংবর্ধনা দেননি। তারা রায়ের (খালেদা জিয়ার দুই মামলায়) বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২০ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগে ৯ জন বিচারপতিকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। নবনিযুক্ত বিচারপতিরা হলেন—বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেন, বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল, বিচারপতি কাজী জিনাত হক, বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার মিণ্টু, বিচারপতি ড. জাকির হোসেন, বিচারপতি সাহেদ নুর উদ্দিন, বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি একেএম জহিরুল হক ও বিচারপতি মাহবুবুল ইসলাম।