মানবতাবিরোধী অপরাধ: আজহারের আপিলের রায় বৃহস্পতিবার

এটিএম আজহারুল ইসলাম (ফাইল ছবি)মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তারিখ  নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) এই তারিখ নির্ধারণ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

এরআগে, গত ১০ জুলাই উভয়পক্ষের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন  আপিল বিভাগ যেকোনও মামলার রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে আসামীর পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে গত ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন তুহিন।

এটিএম আজহারুল ইসলামের মূল আপিল আবেদনে ৯০পৃষ্ঠার সঙ্গে ১১৩টি গ্রাউন্ডসহ মোট দুই হাজার ৩৪০ পৃষ্ঠার আবেদন জমা দেওয়া হয়।

আপিল দায়েরের পর তার আইনজীবী শিশির মুহাম্মদ মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপিলে আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করেছি, তিনি কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এ মামলায় সাক্ষীদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এটিএম আজহারুল ইসলামকে নির্দোষ প্রমাণ করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২৬ নম্বর সাক্ষীর জবানবন্দি অনুযায়ী এটিএম আজাহারের বিরুদ্ধে আনা হত্যা, গণহত্যার অভিযোগগুলো প্রমাণ করতে প্রসিকিউশনের আইনজীবীরা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। প্রসিকিউশনের ৪ ও ২৫ নম্বর সাক্ষীর জবানবন্দি অনুযায়ী ডকুমেন্ট তৈরি করে প্রসিকিউশন নিজেদের মতো করে মামলা সাজিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এটিএম আজহার ইসলামের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ৬টি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে মৃদ্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। ৫ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৬ নম্বর অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ১ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।