র্যাব-৪ অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসুকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি এবং এক হাজার ১২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সন্ত্রাসী হাসু আগারগাঁওয়ে হাসু-কাসু বাহিনীর প্রধান। সে মিরপুর, আগারগাঁও ও শেরেবাংলা নগরসহ আশপাশের এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্ক ছিল।
তিনি জানান, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, অপহরণ ও খুন করা হাসুর নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, ঠিকাদার, এমনকি চাকরিজীবীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতো সে। এছাড়া সে মাদক ব্যবসাও করতো।
সন্ত্রাসী হাসুর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, খুন, নারী নির্যাতনসহ ১২টির বেশি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে সে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে থাকতো। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসু জানায়, তার মূল কাজ ছিল উঠতি বয়সী সন্ত্রাসীদের পরিচালনা করা। এছাড়াও চাঁদাবজি, ভূমি দখলসহ মাদকদ্রব্য বিক্রি করা।