২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের লাল মিয়াসহ ৫৫ জন গ্রাম পুলিশ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই বছর ৩ ডিসেম্বর গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের স্কেলের সমপরিমাণ বেতন কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আজকে আদালত ওই রুলকে যথাযথ ঘোষণা করে আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েস আল হারুনী।
বর্তমানে প্রায় ৪৬ হাজার গ্রাম পুলিশের একজন দফাদার বেতন পান তিন হাজার চারশ’ টাকা এবং মহালদার পান তিন হাজার টাকা।
রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ব্রিটিশ আমল থেকে গ্রাম পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ তাদের ২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলি সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করে। কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনও শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।
এক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশের জন্য চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু ওই চিঠির কোনও জবাব মন্ত্রণালয়কে না দেওয়া হলে ভুক্তভোগীরা হাইকোর্টে রিট করেন।