ছয় বছরেও জনবল সংকট কাটেনি নৌপুলিশের

নৌপুলিশনৌপথের নিরাপত্তায় গঠিত নৌপুলিশ ইউনিটের জনবল সংকট কাটেনি ছয় বছরেও। রয়েছে নৌযান সংকটও। দেশের নৌপথকে অপরাধমুক্ত ও নিরাপদ রাখার প্রয়োজনেই শিগগিরই নৌপুলিশে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগসহ লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, নৌপথকে অপরাধমুক্ত রাখতে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় নৌপুলিশ ইউনিট। 
শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার এবং বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার নৌপথ রয়েছে। দেশের ২টি বিভাগের ৮টি অঞ্চলে নৌপুলিশের ১ হাজার ৯৩৪ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এই দুটি বিভাগের ১১টি জোনে মাত্র ১৪টি থানা ও ১০২টি ফাঁড়ি রয়েছে। নদীপথগুলোকে নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশে আরও জনবল প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান ইউনিটের কর্মকর্তারা।
নৌপুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নৌপথে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অবাধে বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত টহল দিতে হয় এই ইউনিটকে। এছাড়া, চোরাচালান ও অপরাধ দমনে বিভিন্ন সময় বিশেষ অভিযানও পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু এসব অভিযান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জলযান নেই ইউনিটটির।  

কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক সীমাবদ্ধতার পরও নৌপুলিশ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জনবল ঘাটতি, নৌযান সংকট, পর্যাপ্ত নৌথানা ও নৌফাঁড়ি সংকট রয়েছে। নিজস্ব কোনও অবকাঠামোও নেই এই ইউনিটে। তারা বলেন, শুধু নদীপথে অপরাধ দমনই নয়, নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নৌপুলিশের আরও কাজ রয়েছে। ঈদ, প্রতিমা বিসর্জন, বিশ্ব ইজতেমা, নৌকাবাইচ, ওরসের মতো বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা দিতেও এই ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।

নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রেনিং, লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) ফরিদা পারভীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নৌপুলিশ মা ইলিশ সংরক্ষণ এবং জাটকানিধন প্রতিরোধ অভিযানের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। লজিস্টিক সীমাবদ্ধতা ও জনবল সংকটের  পরও নৌপুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।’

নৌপুলিশের ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করতে কী কী প্রয়োজন?—জানতে চাইলে ফরিদা পারভীন বলেন, ‘নৌপুলিশের নিজস্ব কোনও ভবন বা অবকাঠামো নেই। জনবলের সংকট রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায় উন্নতমানের যানবাহন ও জলযান নেই। বর্তমানে দুটি বিভাগে আমাদের কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে আরও নৌথানা ও ফাঁড়ির  প্রয়োজন রয়েছে। বেশকিছু ফাঁড়ির অনুমোদন হয়ে গেছে।’ কিন্তু জনবল সংকটের কারণে সেগুলো চালু করা যাচ্ছে না বলেও তিনি জানান।