পর্দা কেলেঙ্কারি মামলায় তিন চিকিৎসককে হাইকোর্টের জামিন

 

হাইকোর্ট

ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘পর্দা কেলেঙ্কারি’ দুর্নীতি মামলায় তিন চিকিৎসককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, হাসপাতালের সাবেক কনসালটেন্ট ডা. মিনাক্ষী চাকমা এবং হাসপাতালের সাবেক প্যাথলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলাম।

আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আসামিদের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন।

গত বছর ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ কোটি টাকার পর্দা ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে উচ্চমূল্যে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।

মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মিনাক্ষী চাকমা এবং ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক প্যাথলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলামকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় গত ১২ জানুয়ারি তিন চিকিৎসককে কারাগারে পাঠান ফরিদপুরের আদালত। এরপর তারা ফরিদপুরের আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।