ভোলায় প্রাথমিকে ২৯ সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষণের নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্টসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় নারী কোটায় ভোলা জেলায় ২৯টি পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের চূড়ান্ত ফলে নারী কোটায় শতকরা ৬০ ভাগ নিয়োগ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ চার বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নিয়োগ বঞ্চিত ২৯ জন প্রার্থীর দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম।

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘সরকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩-এর ৭ বিধিতে বলা হয়েছে, সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থী নিয়ে পূরণ করতে হবে। কিন্তু চূড়ান্ত ফলে ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন নির্বাচিত হন। ওই ফলে নারী প্রার্থীদের চেয়ে পুরুষ প্রার্থীদের বেশি নির্বাচিত করা হয়, যা ওই বিধির লঙ্ঘন।’

আইনজীবী  আরও বলেন, ‘একইভাবে ভোলা জেলায় মোট ৩৪৪ প্রার্থীকে চূড়ান্ত ফলে নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে ১২৭ জন নারী ও ২১৭ জন পুরুষ প্রার্থী নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থী হিসেবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০৬ জনকে নির্বাচিত হওয়ার কথা। নিয়োগবঞ্চিত হওয়ায় ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আকলিমা বেগমসহ ২৯ জন প্রার্থী ৬০ শতাংশ নারী কোটায় নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন।’ ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন বলেও তিনি জানান।