সিলেট, দিনাজপুর, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে দুদকের অভিযান

দুদকের অভিযান

বাইরের ফার্মেসিতে সরকারি ওষুধ বিক্রি ও রোগীদের হয়রানির অভিযোগে সিলেটের সাহেব বাজারে ডিডব্লিউওএসডিওভি কমিউনিটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। এছাড়া আরও ৯টি অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় দুদক। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব অভিযান হয় বলে জানান, দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। তিনি জানান, বিভিন্ন দফতরের দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন জেলা প্রশাসককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দুদক জানায়, দুদকের সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মনজুর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টিম সাহেব বাজারে ডিডব্লিউওএসডিওভি কমিউনিটি ক্লিনিকে অভিযান চালান। অভিযানের সময় দুদক টিম কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনিয়মের চিত্র দেখতে পায়। এছাড়া সরকারি ওষুধ বাইরের ফার্মেসিতে বিক্রির অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফার্মেসিতে তল্লাশি চালানো হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগী দুদক টিমকে জানান, ক্লিনিকে চিকিৎসকের উপস্থিতি খুব একটা থাকে না। চিকিৎসাসেবা নিয়মিত পাওয়া যায় না। সেবা নিশ্চিত করাসহ সরকারি ওষুধ রোগীদের সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেয় দুদক টিম।

এদিকে, কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান কেনায় অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে দিনাজপুরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) অভিযোগ পেয়ে এ অভিযান চালান সমন্বিত জেলা কার্যালয়, দিনাজপুরের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান। অভিযানের সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (ব্লক সুপারভাইজার) শাহীন দুদক টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন এবং মোবাইল বন্ধ করে দেন। ভুক্তভোগী কৃষকরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদক টিমকে জানান, যেসব কৃষক ধান সরবরাহের জন্য লটারিতে জয়ী হয়ে টিকিট পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে ঘুষ নিয়ে অন্যদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছেন। এতে করে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ধান সরবরাহকারীদের তালিকা এবং লটারির মাধ্যমে টিকেট পাওয়া কৃষকদের তালিকাসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানায় অভিযান পরিচালকারী টিম।

অপরদিকে, বিদ্যুতের লাইসেন্স দেওয়ার নামে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদক রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিদ্যুৎ লাইসেন্স অফিসে, ভূমি নামজারি ও মিস কেইস-এর নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ভূমি অফিসে আরও দু’টি অভিযান চালায় দুদক।

এছাড়া আরও বিভিন্ন দফতরের ৬টি অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গাইবান্ধা, মানিকগঞ্জ ও পাবনার জেলা প্রশাসক, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এবং চট্টগ্রামে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।