ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দু’টি ধারা কেন অবৈধ নয়


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ৩১ ধারা দু’টিকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইন মন্ত্রণালয় সচিব এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চারটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। আইনের এ ধারাগুলো হলো- ২৫, ২৮, ২৯ ও ৩১।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আসাদ উদ্দিন, মো. আসাদুজ্জামান, জোবাইদুর রহমান, মহিউদ্দিন মোল্লা ও  মুজাহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল, ড. মো. কামরুজ্জামান ও ড. রফিকুল ইসলামের পক্ষে এই রিট করেন শিশির মো. মনির।

রিট আবেদনে দু’টি যুক্তি তুলে ধরা হয়। প্রথমত, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ২৫, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারাসমূহ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত মেলিক অধিকার ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা‘কে খর্ব করে। দ্বিতীয়ত, আদালতের প্রতিষ্ঠিত নীতি হলো- অপরাধের সংজ্ঞা সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণনা করতে হয়। কিন্তু এসব ধারাসমূহে সুস্পষ্টভাবে অপরাধ সমূহকে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। ফলে এসব ধারার অপব্যবহারের মাধ্যমে পছন্দ অনুযায়ী যে কোনও ব্যক্তিকে হয়রানি করার সুযোগ রয়েছে।

তবে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ৩১ ধারা দুটির বিষয়ে রুল জারি করলেন।