অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কাউন্টার টেরোরিজমের সচিত্র ঘটনাক্রম

 

1


লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সচিত্র ঘটনাক্রম প্রকাশ করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা ও জঙ্গিবিরোধী বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে পেইন্টিং করা এই সচিত্র ঘটনাক্রম প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ১১ এপ্রিল অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিটিটিসি। বর্তমানে এই মামলার বিচারকার্যক্রম চলছে।

সিটিটিসির উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আলোচিত এই ঘটনাটি ছিল ক্লুলেস। আনসার আল ইসলামের একটি স্লিপার সেল এই কাজটি করেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া সরাসরি জড়িত ছিল। সেসহ দুই আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে।

সিটিটিসি ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তারা হলো- নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক প্রধান চাকরিচ্যুত সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে সাহা, আরাফাত রহমান, শাফিউর রহমান ফারাবী এবং আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আবদুল্লাহ। আসামিদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক। বাকি চারজন কারাগারে। এছাড়া সেলিম নামে আরেকজন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে তার নাম-পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। ভবিষ্যতে তার পরিচয় সনাক্ত করতে পারলে সম্পূরুক চার্জশিট দেওয়া হবে।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতেই এই নৃশংস হামলা চালানো হয়। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ডিভিশনের সদস্যদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
অভিজিৎ রায়ের ওপর সচিত্র প্রতিবেদন: