ময়ূর লঞ্চের মাস্টার র‍্যাব দেখেই বলে ওঠেন ‘আমার প্রেশার’


গ্রেফতারকৃত আবুল বাশারবুড়িগঙ্গা নদীতে মনিং বার্ড লঞ্চডুবির ঘটনার পর অভিযুক্ত ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যান। গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, র‍্যাব যখন তাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের সময় র‍্যাব দেখে তিনি বলে ওঠেন, ‘আমার প্রেশার।’

সোমবার (১৩ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে কাওরান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে গ্রেফতার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করা হয়। গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এক র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘আবুল বাশার লঞ্চডুবির পর দ্রুত স্থান পরিবর্তন করেন। তাকে খুঁজছিলাম আমরা। তাকে গ্রেফতার করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। ১২ জুলাই তাকে র‍্যাব-১০ এর একটি টিম রাজধানীর অদূরের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।’

২৯ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ফরাশগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ এর একটি লঞ্চের (ঢাকা-চাঁদপুরগামী) ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চ ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৩২ জন নিহত হন। মর্নিং বার্ড লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাট আসছিল। লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩০ জুন দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়। বাশার মামলার ২ নম্বর আসামি।

গ্রেফতারকৃত আবুল বাশার

আবুল বাশারের বাড়ি মাগুরার মোহম্মদপুরের মন্ডলগাতির কলাগাছি গ্রামে। সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি কাইয়ুমুজ্জামান খান বলেন, ঘটনার পর বাশার আত্মগোপনে চলে যান। তিনি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে আত্মগাপনে ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি মাগুরাতে নিজ গ্রামে চলে যান এবং রাতের খাবার খেয়ে পাশের গ্রামে একজনের বাড়িতে রাতে থাকেন। পরেরদিন ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গায় চলে যান। সেখানে দু’দিন থাকার পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার আখালিপাড়ায় ভায়রার বাড়িতে যান। সেখান থেকে বাসার ঢাকার দিকে আসছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত করে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হস্থান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:

ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার গ্রেফতার