মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের আদালত এই নির্দেশ দেন। ওই নামটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান-জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং আইনবিরোধী হওয়ায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মোহাম্মদ বাকির উদ্দিন ভূইয়া।
এর আগে কথিত 'বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন' এর নামের শেষে ‘কমিশন’ শব্দটি সর্বত্র ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু হানিফ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৯ জুন বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং আইনবিরোধী হওয়ায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন তার নামের শেষে ‘কমিশন' শব্দটি এবং নামের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে ‘বিএইচআরসি’ শব্দটি ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং প্রিন্ট মিডিয়ার কোথাও ব্যবহার করতে পারবে না মর্মে নিষেধাজ্ঞাদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ বাকির উদ্দিন ভুইয়া এবং তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. সাইফুল ইসলাম (জোবায়ের)। পরে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে কথিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আপিল দায়ের করে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
প্রসঙ্গত, কথিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ কোনও কোনও বেসরকারি সংগঠন তাদের সংস্থার নামের সঙ্গে 'কমিশন' শব্দটি ব্যবহার করে। যার ফলে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণমধ্যমসহ জনমনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় গত ১১ মার্চ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গণমাধ্যমে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে।