বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিগণের সঙ্গে আলোচনাক্রমে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে অধস্তন আদালতে শুধুমাত্র দেওয়ানি মোকদ্দমা/ মামলায় জরুরি দরখাস্ত এবং সাকসেশন মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে। এ বিষয়ে বিচারকরা তাদের এজলাস কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন এবং শুনানি সংক্রান্ত পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট বিচারক সাকসেশন মামলাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য গ্রহণসহ চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করবেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদালত সাকসেশন মামলা শুনানির জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে শুনানি সম্পন্ন করবেন। দেওয়ানি মোকদ্দমা/ মামলায় জরুরি দরখাস্তসমূহ এবং সাকসেশন মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তির পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে যাতে আদালত প্রাঙ্গণে ও ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ জনসমাগম না ঘটে। আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষে প্রত্যেককে কমপক্ষে ৬ (হয়) ফুট শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল প্রকার জনসমাগম পরিহার করতে হবে। এজলাস কক্ষে একত্রে ৬ জনের অধিক লোকের সমাগম করা যাবে না। বর্ণিত শুনানিতে মোকদ্দমার/মামলার পক্ষসমূহের উপস্থিতির আইনগত আবশ্যকতা না থাকলে এজলাস কক্ষে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট মোকদ্দমায়/মামলায় উভয়পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন ‘
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এজলাস কক্ষে প্রত্যেককে আবশ্যিকভাবে ফেস মাস্ক পরিহিত অবস্থায় থাকতে হবে। আদালতে প্রবেশের সময় প্রত্যেক ব্যক্তির শারীরিক তাপমাত্রা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। এজলাস কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ শারীরিক দূরত্ব কঠোরভাবে বজায় নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক উদ্ভূত যে কোনও পরিস্থিতি বিবেচনায় বিচারক শুনানি করা থেকে বিরত থাকাসহ প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
গত ২৫ মার্চের পর থেকে করোনা বিবেচনায় দেশের অধস্তন আদালতে মামলা দায়েরের সুযোগ বন্ধ রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।