অনলাইনে ডিলারশিপ ফাঁদ

115805372_621861848445074_6178181346228961913_n
অনলাইনে বিভিন্ন উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে পণ্যের ডিলারশিপ নেয়, বিশ্বস্থতা অর্জনের জন্য প্রথম দুই এক কিস্তি পণ্য নেওয়ার আগেই উদ্যোক্তাদের টাকা অগ্রিম দিয়ে দেয়। কিন্তু বেশি পণ্য অর্ডার করে তা কুরিয়ারের মাধ্যমে নিয়ে তিনি গায়েব হয়ে যান। মূলত দূরের জেলার উদ্যোক্তাদের টার্গেট তার। যারা তার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন না। এমনই এক অনলাইন প্রতারককে যশোর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)। তার নাম আমজাদ হোসেন কিরণ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির সাইবার ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ। এই সময় সিআইডির সাইবার ক্রাইমের ডিআইজি মো. শাহআলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ওই ব্যক্তিকে যশোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ডিলারশিপ দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করতো।

রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘সিআইডির সাইবার পুলিশের ফেইসবুক পেজে বুলবুল হোসেন নামের একজন তথ্য দেয় যে, এমডি আল আমিন খান নামের এক ব্যক্তি ফেইসবুকে পেজ ও গ্রুপ খুলে অনলাইনে ডিলারশিপের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। সেখানে ডিলারশিপ নিতে চাই বলে বিভিন্ন পোস্ট করে থাকে। সেখানে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যশোরে তার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি ব্যবসা আরও বাড়াতে চান।’

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি প্রথমে কিছু নমুনা (স্যাম্পল) পাঠানোর জন্য বলে বিকাশে টাকা পরিশোধ করে দেন। মালামাল পাঠানো হয় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। পরে ডিলারদের জানানো হয় তাদের নমুনার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সুতরাং তারা যেনও দ্রুত একটি বড় লট পাঠিয়ে দেয় এবং আরও একটি বড় লট তৈরি করতে থাকে। ব্যবসায়ীরা মালামাল পাঠিয়ে দিলেই তার সে মোবাইল নম্বর ব্লাকলিষ্ট এবং ফেইসবুক আইডি ব্লক করে দেয়।’

অভিযোগ পেয়ে সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত ব্যক্তির মোবাইল নম্বরের সূত্রধরে সিআইডি যশোরে অভিযান পরিচালনা করে। ওই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত মো. আমজাদ হোসেন কিরনকে যশোর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে কিরণ জানায়, বিভিন্ন দূরের জেলার ব্যবসায়ীদের তিনি টার্গেট করতেন। যেন ওই ব্যবসায়ীরা তাকে আর খুঁজে না পায় বা আইনের আশ্রয় নিতে না পারেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও অনলাইনে যে কোনও ধরনের গুজবসহ সাইবার অপরাধের তথ্য সিআইডির সাইবার পুলিশকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ।