চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজশাহী রেঞ্জের এসপির বিরুদ্ধে মামলা

মামলাচাঁদাবাজির অভিযোগে রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনের (৪৮) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার (১২ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দিদার হোসাইনের আদালতে গোলাম মোস্তফা ওরফে আদর এ মামলাটি করেন। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

মামলায় বেলায়েত হোসেন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ /১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেন্স সহকারী সালাউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সালাউদ্দিন জানান, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে  প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর অফিসে দুই বছর আগে বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় আদরের। এরপর তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুবাদে আদরের বাবা গোলাম মোহাম্মদের কাছ থেকে বেলায়েত হোসেন বাড়ির জমি রেজিস্ট্রি করতে ২০১৯ সালের ১১ আগস্ট ৫ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওই টাকা আসামি গত ১৫ মার্চ চেক দেন করেন। পরদিন আদর চেকটি উত্তোলন করেন।

গত ৪ এপ্রিল আসামি বেলায়েত হোসেন বাদী আদরের বাবার কাছে একজন লোক পাঠান। তিনি নিজেকে ডিবির অফিসার পরিচয় দেন। 

এরপর আসামি বাদীর বাবাকে ফোন দিয়ে বলেন, ৫ লাখ টাকা না দিলে তার ছেলের অসুবিধা হবে। পরে বাদীর বাবা ৫ লাখ টাকার একটি চেক বেলায়েত হোসেনের নামে দেন। ১০ এপ্রিল বাদীর সঙ্গে তার বাবার কথা হয়। বাদী জানতে পারেন, ব্ল্যাকমেইল করে বেলায়েত হোসেন টাকা নিয়েছেন। পরে বাদীর বাবা ব্যাংককে চেকটি পাস না করার তথ্য দেন।  এরপর ৮ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে ১৫/১৬ জন অজ্ঞাতনামা ডিবি নামধারী পুলিশ পরিচয় বাদীর বাড়ি প্রবেশ করেন। 

আভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো এবং বাদীর নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জরিমানাসহ জেলের হুমকি দেন তারা। টাকা দিতে না পারায় আদরকে মারপিট করে ডিবির মিন্টু রোডে নিয়ে যায়। আদরের বাবা, মা ও স্ত্রী ডিবি কার্যালয়ে যান। তখন আসামি বেলায়েত হোসেন বলেন ২৫ লাখ টাকা না দিলে আদরকে ক্রসফায়ার দেওয়া হবে। অথবা ৮শ বোতল ফেনসিডিল বা অস্ত্র দিয়ে মামলা দেওয়া হবে। তখন আদরের বাবা সাড়ে তিন লাখ টাকা আসামিকে দেন। 

গত ১০ আগস্ট আরও ৫০ হাজার টাকা আসামিকে দেওয়া হয়। আসামি আরও ছয় লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে বলেন। না হলে বাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।