অরিত্রী আত্মহত্যা মামলা: নৈশপ্রহরীর সাক্ষ্যগ্রহণ

অরিত্রী অধিকারীভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলায় বাড়ির নৈশপ্রহরী সুখদেবের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার পরবর্তী দিন ৪ নভেম্বর ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাবিনা আক্তার দিবা বলেন, গত ২৩ আগস্ট অরিত্রীর মা সাক্ষ্য দেন। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করতে পারেননি। সেজন্য তারা অরিত্রীর মাকে জেরা করার জন্য আবেদন করেন। অবেদনের প্ররিপ্রেক্ষিতে বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার জন্য আগামী ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

অরিত্রীর আত্মহত্যায় ঘটনায় পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে— এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।