বিবৃতিতে পিউট্যাব নেতারা বলেন, আমরা ওই শিক্ষকের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ উদ্বেগে আছি। ওই অডিও বার্তাটিতে এটা সুস্পষ্ট যে, তা উগ্রপন্থী কোনও গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কেবল শিক্ষক কুশল চক্রবর্তীকে আক্রান্ত করার হুমকিই দেওয়া হয়নি; একইসঙ্গে এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চর্চায় বিশ্বাসী সবার প্রতিই উসকানিমূলক ও অযৌক্তিকভাবে ঘৃণা প্রদর্শন করা হয়েছে। যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে প্রভাবিত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং সব নাগরিকের জন্য অসম্মানের। আমরা বিস্ময় ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করলাম, উক্ত অডিও বার্তায় পাঠানো হুমকিতে নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসীদের প্রতি ভবিষ্যতে ভীষণ উগ্রপন্থায় আক্রমণের এবং দেশকে অদূর ভবিষ্যতে একটি অস্থিতিশীল অবস্থায় ফেলার কোনও ষড়যন্ত্রের আভাসও বিদ্যমান। তাই বিষয়টিকে কেবল একক কোনও ব্যক্তির প্রতি হুমকি বলে বিবেচনার সুযোগ নেই; বরং এটিকে কোনও মৌলবাদী চক্রের গভীর ষড়যন্ত্র এবং সাম্প্রদায়িক কোনও গোষ্ঠীর বৃহত্তর চক্রান্তের নীলনকশার প্রাথমিক উৎসরণ হিসেবেও পর্যবেক্ষণের দায় রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের উগ্রতা পোষণ করা আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও পরমতসহিষ্ণুতার আবহমানচর্চার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং শিক্ষক সমাজের স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত জীবনযাপনের প্রতি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির নিয়ামক। যা একইসঙ্গে অপ্রত্যাশিত, নিন্দনীয় ও শঙ্কার। তাই এই ধরনের উগ্রবাদী বার্তার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পিউট্যাব এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।