ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল বণিকের অভিযোগ গঠন শুনানি পেছালো

পার্থ গোপাল বণিকচট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবহেলায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল বণিকের অভিযোগ গঠন শুনানি পেছালো। পরবর্তী শুনানির জন্য ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৯অক্টোবর ) আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন নির্ধারণ করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ দিন আসামি পার্থকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে শুনানি শেষে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে ২৯ অক্টোবর অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বদলির আদেশ দেন তিনি। এর আগে গত ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযানে যায় দুদক। ওই দিন বিকালে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এর পরই তাকে আটক করা হয়। পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত হওয়া কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনও ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।