রবিবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। জেরা শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
মিজান ছাড়া অপর আসামিরা হলেন, মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। গত ২০ অক্টোবর ডিআইজি মিজানসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইজি মিজানের স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্র ভুক্ত আসামিরা হলেন ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
গত ২০১৯ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন। এরপর ওইদিনই শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন। পরের দিন (২ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার পক্ষে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ২০১৯ সালের ৪ জুলাই ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উভয় আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
গত ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়।