সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো

ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে খুন হওয়া সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এই নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার বাদী সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী অবশিষ্ট জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতের কাছে রাষ্টপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এই দিন ধার্য করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই মামলার আসামিরা হলো, নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে এই অভিযোগেত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা জামিন পেলে বাংলাদেশ ত্যাগ করে পুরোপুরি পলাতক হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য আসামিদের বিচার সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার অভিযোগপত্রে জোড় আবেদন জানান তিনি।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শ্বাশুড়ি সগিরাকে অনেক পছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এই নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করে। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ সগিরাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।