ডা. জাফরুল্লাহসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১ মার্চ

অবহেলাজনিত কারণে এক প্রসূতির নারী মৃত্যুতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি )ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ দিন ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় আদালত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, শংকরী রানী সরকার (সেবিকা) ও ডা. দেলোয়ার হোসেন। এছাড়া গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর এস এ আলম সবুজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু তারা ভাল সেবা পাননি। নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনাকালীন সময়ে স্বামী সবুজ বারবার শংকরী রাণীকে জানালেও তিনি গুরুত্ব দেননি। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সবুজ শংকরী রাণীকে ডাক্তার ডাকার অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রাণী ইন্টার্ন চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন। তারা দুজন এসে জানান, সবকিছু ঠিক আছে। এরপর শংকরী রাণী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু কোনও ডাক্তার আসেনি। ভিকটিম স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করলে তারা তা করেনি। শংকরী রাণী স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই ভিকটিমকে জোর করে বাচ্চা প্রসব করায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের একপর্যায়ে ভিকটিম একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। রোগীর মৃত্যুর পেছনে তাদের কিছু অবহেলা আছে বলে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে বাদীপক্ষকে পাত্তা দেয়নি। আসামিরা বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে না, পারলে মামলা করেন।