প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু হাইকোর্ট মতিউর রহমানের পক্ষে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করায় আইনজীবী সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এরআগে, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ৯ জনের অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ‘কিশোর আলোর’ সম্পাদক ও লেখক আনিসুল হককে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন− কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।

২০২০ সালের ১ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা বদলি হয়ে আসে।

এর আগে নাইমুল আবরার নিহত হওয়ায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলিম এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নাইমুল আবরা‌রের বাবা মুজিবুর রহমান।

২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিকালে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নাইমুল আবরার। এ ঘটনায় শুরু থেকেই আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে আসছে শিক্ষার্থীরা।