মুশতাকের মৃত্যুর প্রতিবাদে মিছিলকারীদের বিরুদ্ধে মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন ১৩ এপ্রিল

লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে শাহবাগের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়ার আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে এদিন মামলার শাহবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন আদালতের কাছে। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে একদিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা করে। মামলার আসামিরা হলো- তামজীদ হায়দার, নজিব আমিন চৌধুরী জয়, এ এস এম তানজিমুর রহমান, আকিব আহম্মেদ, আরাফাত সাদ, নাজিফা জান্নাত, জয়তী চক্রবর্তী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘আসামিরা বেআইনি জনতাবদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেলসহ পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়। পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ করে, গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। মিছিলকারীরা মশাল দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে।’

প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে র‍্যাব ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক মুশতাক, কার্টুনিস্ট কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তা সংগঠনের দিদার, মিনহাজসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। তাদের মধ্যে কিশোর ও মুশতাক গত ৯ মাস ধরে কারাগারে আছেন। মিনহাজ ও দিদার গত সেপ্টেম্বরে আদালত থেকে জামিন পান। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কারাগারের মৃত্যু হয় লেখক মুশতাকের। তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুশতাক আহমেদ নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ২০২০ সালের ৬ মে ঢাকা জেলে ও পরে ২৪ আগস্ট থেকে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।